ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাচ্ছেন, কিন্তু সংশোধন আবেদন করার কতদিনের মাঝে আবেদন অনুমোদিত হবে জানেন না? বিস্তারিত থাকছে এই পোস্টে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করার পর আবেদনের ধরণ অনুযায়ী সেটিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এরপর, ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদনটি নির্দিষ্ট অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়। ক্যাটাগরিভেদে সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হতে ভিন্ন সময় লেগে থাকে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার কতদিন পর আবেদন অনুমোদন হয় বা কতদিন সময় লাগে জানতে শেষ অব্দি পড়ুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করার পর আবেদনটি ক্যাটাগরিভেদে ভাগ হয়ে থাকে। মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে সংশোধনের আবেদনকে ভাগ করা হয়। “ক” ক্যাটাগরির আবেদন অনুমোদন হতে ৭ দিন, “খ” ক্যাটাগরির আবেদন অনুমোদন হতে ১৫ দিন, “গ” ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ৩০ দিন এবং “ঘ” ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ৪৫ দিন সময় লেগে থাকে।

আপনি ভোটার আইডি কার্ডের কোন ধরণের তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করছেন, তার উপর ভিত্তি করে সংশোধনটিকে ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। আপনি যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে আবেদন করেছেন, তা সঠিক কিনা এবং সংযুক্ত সকল কাগজপত্রের উপর যাচাই বাছাই করে তবেই আবেদনটি অনুমোদন করা হবে। তাই, সংশোধন আবেদন অনুমোদন হতে ক্যাটাগরি ভেদে সময় ভিন্ন লেগে থাকে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হতে কতদিন সময় লাগে তা নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে সহজেই উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

সংশোধনের ক্যাটাগরিকতদিন সময় লাগে
ক ক্যাটাগরি৭ দিন
খ ক্যাটাগরি১৫ দিন
গ ক্যাটাগরি৩০ দিন
ঘ ক্যাটাগরি৪৫ দিন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করার সময় ফি জমা দিতে হয়। ফি জমা দেয়ার পর আবেদন সাবমিট করলে আবেদনটি NID Wing এ জমা হয়। এরপর, সেখানে ক্যাটাগরিতে ভাগ করে আবেদনটি নির্দিষ্ট অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়।

ক্যাটাগরিভেদে বিভিন্ন সময় লাগে তথ্য যাচাই-বাছাই করে আবেদনটি অনুমোদন করতে। আপনার সংশোধনের আবেদনটি কোন ক্যাটাগরিতে পড়েছে জানার জন্য নিম্নোক্ত অংশটি পড়ুন। এখানে, ক, খ, গ এবং ঘ ক্যাটাগরির আবেদনের তথ্যগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

“ক” ক্যাটাগরির আবেদন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার সময় আপনি যদি নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধন করতে আবেদন করে থাকেন, তাহলে আবেদনটি “ক” ক্যাটাগরিতে পড়বে। সেক্ষেত্রে, আপনার আবেদনটি অনুমোদন হতে ০৭ দিন সময় লাগবে। তবে, আবেদন অনুমোদন হতে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য সঠিক ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে।

  1. বাংলা ও ইংরেজি নাম মিলকরণ
  2. জন্ম তারিখ সংশোধন (সর্বোচ্চ ৩ বছর)
  3. মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন
  4. নামের আংশিক পরিবর্তন
  5. ঠিকানা সংশোধন
  6. নামের বানান সংশোধন
  7. বৈবাহিক অবস্থা সংশোধন
  8. রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  9. লিঙ্গ পরিবর্তন

“খ” ক্যাটাগরির আবেদন

নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধন করার জন্য আবেদন করলে আবেদনটি “খ” ক্যাটাগরিতে পড়বে। সেক্ষেত্রে, আপনার আবেদনটি অনুমোদন হতে ১৫ দিন সময় লাগবে। তবে, সঠিক ডকুমেন্ট সাবমিট করা হলে আবেদনটি এই নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই অনুমোদন হয়ে যেতে পারে।

  1. ধর্ম পরিবর্তন
  2. অসমর্থতা/প্রতিবন্ধীতা
  3. জন্ম তারিখ সংশোধন – সর্বোচ্চ
  4. স্বামী বা স্ত্রীর নাম সংযোজন/বিয়োজন
  5. ছবি, স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ, আইরিশ আপডেট

“গ” ক্যাটাগরির আবেদন

“গ” ক্যাটাগরির আবেদনের ক্ষেত্রে ৩০ দিন সময় লাগে। নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য আবেদন করা হলে সেগুলো “গ” ক্যাটাগরিতে পড়বে।

  1. জন্ম তারিখ সংশোধন – ৫ বছরের বেশি (সরকারি অনুদানের ক্ষেত্র ব্যতীত।)
  2. সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন (বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্রের ভিত্তিতে)

“ঘ” ক্যাটাগরির আবেদন

“ঘ” ক্যাটাগরির সংশোধনগুলো নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলো সংশোধন করার জন্য আবেদন করলে সেগুলো “ঘ” ক্যাটাগরিতে পড়বে এবং আবেদন অনুমোদন হতে ৪৫ দিন সময় লাগবে। এই সময়ের মাঝে আপনার আবেদনটি যেন অনুমোদন হয়, সেজন্য অবশ্যই সঠিক ডকুমেন্ট সাবমিট করুন।

  1. সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন (বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্র ছাড়া অন্য কাগজপত্রের ভিত্তিতে)
  2. জন্ম তারিখ সংশোধন — (বিভিন্ন সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে)

শেষ কথা

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে তা বিস্তারিত শেয়ার করেছি এই পোস্টে। ভোটার আইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করার জন্য আবেদন করা হলে আবেদনের ধরনের উপর ভিত্তি করে আবেদনটিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এরপর, ক্যাটাগরিভেদে আবেদনটি অনুমোদন হতে ভিন্ন সময় লেগে থাকে। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *