নতুন ভোটার হতে চাচ্ছেন? কিন্তু ভোটার আবেদন করতে কত টাকা লাগে জানেন না? এই পোস্টে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে যখন নতুন ভোটার আবেদন গ্রহণ করা শুরু করা হয়, তখন ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেক্ষেত্রে ভোটার আবেদন করতে কত টাকা লাগবে বা অনলাইনে ভোটার আবেদন করতে কত টাকা লাগবে এসব বিষয় নিয়ে এই পোস্ট।
তো চলুন, ভোটার নিবন্ধন করতে মোট কত টাকা লাগে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
এই পোস্টের বিষয়বস্তু
নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে
নতুন ভোটার হতে বা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে কোনো টাকা লাগেনা। আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে ভোটার হওয়ার জন্য কোনো ফি দিতে হবেনা। তবে, কিছু ক্ষেত্রে টাকা লাগতে পারে। যেসব ক্ষেত্রে টাকা লাগবে তা নিয়ে নিম্নে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যখন নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়, তখন আপনি যদি সরাসরি আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে কোনো টাকা লাগবেনা। তবে, ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার সময় টাকা লাগতে পারে।
অর্থাৎ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার সময় দেখা গেল আপনার বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়নি। তখন ট্যাক্স পরিশোধ করে ট্যাক্স প্রদানের রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, আবেদনের সাথে রশিদ জমা দিতে হবে।
এছাড়া, আবেদন করার সময় বিভিন্ন কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়। আবেদনের জন্য কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে টাকার প্রয়োজন হবে।
অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো স্ক্যান করে নিতে হবে। এরপর, স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। সেক্ষেত্রে, আপনার যদি স্ক্যানার না থাকে, তাহলে কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করে নিতে হবে। এজন্য কিছু টাকার প্রয়োজন হবে।
নাগরিক সনদপত্র উত্তোলন বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র উত্তোলন করার সময় টাকার প্রয়োজন হয়। এসব ক্ষেত্রে টাকা লাগবে।
এগুলো ছাড়া আর অন্য কোনো ক্ষেত্রে টাকা লাগেনা। তাই, বলা যায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করার সময় কোনো টাকা লাগেনা। তবে, কাগজপত্র সংগ্রহ করতে এবং ফটোকপি বা স্ক্যান করতে টাকা লেগে থাকে।
ভোটার হওয়া বাংলাদেশে জন্ম নেয়া প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার। তাই, ভোটার হওয়ার জন্য কোনো ফি নেয়া হয়না। তবে, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার ক্ষেত্রে ফি প্রযোজ্য। এছাড়া, ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু সহ বেশ কিছু সেবার ক্ষেত্রে ফি নেয়া হয়ে থাকে।
তবে, আপনি যদি নিজে আবেদন করতে না পারেন কিন্তু অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান, সেক্ষেত্রে যেকোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময় তারা ১৫০/২৫০ টাকা কিংবা এর কিছু বেশি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে। এছাড়া, ভোটার আইডি কার্ড করতে কোনো টাকা লাগেনা।
শেষ কথা
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কিংবা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে কোনো টাকা লাগেনা। তবে, আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে কিছু টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আগে থেকে সংগ্রহ করা থাকলে আলাদা করে কোনো টাকা বা ফি লাগেনা।