নতুন ভোটার হতে চাচ্ছেন? কিন্তু ভোটার নিবন্ধন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে জানেন না? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।

অনলাইনে কিংবা সরাসরি নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। যারা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন, তাদেরকে এসব কাগজপত্র আগেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। নয়তো, আবেদন করার সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার সময় যেসব কাগজপত্র লাগে, তা এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। শেষ অব্দি পড়লে আপনার আইডি কার্ডের আবেদনের জন্য সকল কাগজপত্রের নাম জানতে পারবেন। \

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। এছাড়া, সরকারিভাবে নতুন ভোটার আবেদন নেয়া শুরু হলে সেখানেও আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সময় একটি ফরম পূরণ করতে হয়। ফরমে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য যুক্ত করার পাশাপাশি ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

নতুন ভোটার আবেদন করার সময় যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হয়, সেগুলোর একটি তালিকা নিচে সংযুক্ত করে দেয়া হলো —

  1. ইউটিলিটি বিলের কপি
  2. জন্ম নিবন্ধন সনদ
  3. নাগরিক সনদপত্র
  4. পিতা-মাতার এনআইডির তথ্য
  5. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র
  6. রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট
  7. হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ
  8. স্বামী/স্ত্রীর এনআইডির তথ্য

উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো ভোটার আবেদন করার সময় প্রয়োজন হবে। আপনি যদি সরাসরি আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে ফটোকপি দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন করলে স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।

এই তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া ডকুমেন্টগুলো নিয়ে নিম্নে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

ইউটিলিটি বিলের কপি

আপনার বাসার যেকোনো বিলের কপি দিতে হবে। ইলেক্ট্রিসিটি/পানি বিল/গ্যাস বিল/ইন্টারনেট বিল। যেকোনো একটি বিলের কপি দিতে হবে ভোটার নিবন্ধন করার সময়।

জন্ম নিবন্ধন সনদ

আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে। জন্ম সনদ যদি ১৭ ডিজিটের না হয়, সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করে নিতে হবে। এরপর, ফটোকপি বা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে।

নাগরিক সনদপত্র

ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যদি ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যানের থেকে নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি ফটোকপি করে বা স্ক্যান করে জমা দিতে হবে।

পিতা-মাতার এনআইডির তথ্য

আপনার পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। তবে, অনলাইনে আবেদন করলে স্ক্যান করে উক্ত কপিটি অনলাইনে আপলোড করতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র

আপনি যদি জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি এর মতো কোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধন করার সময় আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ফটোকপি বা স্ক্যান কপি করে জমা দিতে হবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র হিসেবে এটি কাজ করবে।

রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট

ভোটার আইডি কার্ডে আপনার রক্তের গ্রুপ যুক্ত করার জন্য রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যেকোনো মেডিকেল বা ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রক্তের গ্রুপ টেস্ট করে পাওয়া রিপোর্ট কিংবা রিপোর্ট এর ফটোকপি করে জমা দিতে হবে।

হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ

আপনার বাসা-বাড়ির ট্যাক্সের কাগজপত্র জমা দিতে হবে আবেদন করার সময়। আপনার বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বকেয়া আছে কিনা যাচাই করার ক্ষেত্রে এবং বাসার ঠিকানা যাচাই করার ক্ষেত্রে এটি কাজে লাগে। যদি পূর্বে প্রদান করে থাকেন, তাহলে সেই রশিদ জমা দিতে হবে। তবে, পূর্বে প্রদান না করলে আবেদন করার সময় প্রদান করে এরপর রশিদ জমা দিতে হবে।

অনলাইনে আবেদন করলে রশিদটি স্ক্যান করে কপিটি অনলাইনে সাবমিট করবেন। যদি সরাসরি আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে ফটোকপি করে কপিটি জমা দিতে হবে।

স্বামী/স্ত্রীর এনআইডির তথ্য

আপনি বিবাহিত হলে স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে, আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হবেনা। যারা বিবাহিত, শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।

শেষ কথা

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে বা নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এসব বিষয় নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যারা নতুন করে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *