দ্বৈত ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চাচ্ছেন? একের অধিক ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার সহজ নিয়ম জানতে পারবেন এই পোস্টে।

ইচ্ছা করে কিংবা অনিচ্ছায় অনেকেই একের অধিক ভোটার হয়ে থাকেন। অর্থাৎ, একটি আসল ভোটার আইডি কার্ড থাকার পরেও আবারও ভোটার নিবন্ধন করে অনেকেই এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে থাকেন। এই অবস্থাকে দ্বৈত ভোটার বলা হয়।

অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি কিন্তু ভোটার একের অধিক। এই অবস্থা হলে এবং ধরা পড়লে জেল ও জরিমানা হবে। তাই, ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে হবে। বিস্তারিত পদ্ধতি এই পোস্টে জানতে পারবেন।

দ্বৈত ভোটার হওয়ার শাস্তি

কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছা করে কিংবা অনিচ্ছায় একের অধিক ভোটার হয়ে থাকে, তাহলে ধরা পড়লে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তির ১০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা ৬ মাসের জেল হতে পারে। অথবা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা সহ ৬ মাসের জেল হতে পারে।

ইচ্ছা করে কিংবা অনিচ্ছায় কেউ একের অধিক ভোটার হয়ে গেলে, আসল ভোটার আইডি কার্ড রেখে নকল ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে হবে। যাদের একের অধিক ভোটার আইডি কার্ড আছে, তাদের উচিত নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্বৈত ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করা।

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য আসল এনআইডি কার্ডের নাম্বার, পুরো নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ সহ একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে। এছাড়া, উক্ত আবেদনপত্রে যেসব নকল এনআইডি কার্ড আছে, সেগুলোর নাম্বার, নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা লিখতে হবে।

আবেদনপত্রটি সকল তথ্য দিয়ে লিখে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস বরাবর জমা দিতে হবে। এরপর, আবেদনটি যাচাই করে নির্বাচন কমিশন অফিসে কর্মরত অফিসার যদি দেখেন যে আপনার একের অধিক আইডি কার্ড আছে, তাহলে আপনার নকল আইডি কার্ডগুলো বাতিল করে দিবে।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার আসল ভোটার আইডি কার্ডটি বাতিল হবেনা। নয়তো, নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে যদি আপনার আসল ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে দেয়, তাহলে নতুন করে আইডি কার্ড করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে, আপনার জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

এজন্য, সময় থাকতে আপনার আসল ভোটার আইডি কার্ড এবং নকল ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে একটি আবেদন পত্র লিখে জমা দিন। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে তারা আপনার আবেদনটি রিভিউ করবে এবং নকল আইডিগুলো বাতিল করে দিবে।

শেষ কথা

কোনো ব্যক্তি একের অধিক ভোটার হলে সে একের অধিক ভোট দিতে পারবে। যা বাংলাদেশের আইনে বৈধ নয়। তাই, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছে করে কিংবা অনিচ্ছায় যদি একের অধিক ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে ফেলে, তাহলে আসল ভোটার আইডি কার্ড রেখে নকলগুলো বাতিল করতে হবে।

এজন্য, আপনার আসল ভোটার আইডি কার্ড কোনটি তা যাচাই করুন এবং নকল আইডি কার্ডগুলো যাচাই করুন। অতঃপর, আসল ও নকল আইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে একটি দরখাস্ত লিখুন। দরখাস্ত জমা দিলে নকল আইডিগুলো বাতিল হবে এবং জেল-জরিমানা থেকে বেঁচে যাবেন।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *